নষ্ট জমি
বিশশতকের দ্বিতীয় দশকের শুরুতে ‘দি ওয়েস্ট ল্যান্ড’ প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কবিতাটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। এর মূল কারণ সমকালীন কাব্যভোক্তাদের কাছে কবিতাটির নির্মাণগত অভিনবত্ব ও বিষয়গত অস্পষ্টতা। এই আপাত-অস্পষ্টতা সত্ত্বেও কবিতাটিকে কেউ অগ্রাহ্য করতে পারেননি। কবিতাটি নিয়ে বীক্ষণ ও পরিবীক্ষণ অব্যাহত রয়েছে। টি. এস. এলিয়ট (১৮৮৮-১৯৬৫) ‘দি ওয়েস্ট ল্যান্ড’ কবিতাটির বর্তমান ভাষ্য প্রকাশ করেন ১৯২২ সালে। প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি শ্রেষ্ঠ কবিতার পুরস্কার লাভ করে। এটি এখন আধুনিক কবিতার এক শ্রেষ্ঠ প্রমাণক ও ভাষ্য। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে কবিতাটির শতবর্ষপূর্তি হয়েছে। ‘দি ওয়েস্ট ল্যান্ড’ একটি বহুস্বরবিশিষ্ট কবিতা। বাংলা সাহিত্যে প্রায় একই সময়ে রচিত কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা একটি কালজয়ী বহুস্বরবিশিষ্ট কবিতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। ‘নষ্ট জমি’ অনুবাদককৃত ‘দি ওয়েস্ট ল্যান্ড’-এর বাংলা তরজমা। এর মর্মার্থ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সমালোচকেরা সন্ধান পেয়েছেন এক সর্বব্যাপী ‘আত্মিক বন্ধ্যাত্বে’র। কবিতাটি শুরু হয়েছে এক ধরনের পাথুরে বন্ধ্যাত্ব্যের গভীরে কোনো শেকড় জন্ম নেওয়া বা প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনাহীনতার মধ্যে। কবিতাটির পটভূমি চূর্ণ,অসংলগ্ন,জননরহিত ও বন্ধ্যা এই অলীক নগরলগ্ন বিমানবিক সভ্যতা।
বইয়ের নাম | নষ্ট জমি |
---|---|
লেখক | টি এস এলিয়ট |
প্রকাশনী | পাঠক সমাবেশ |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |