জীবনানন্দ পত্রাবলি
আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধান পুরুষ কবি জীবনানন্দ দাশ। মুখোমুখি সাক্ষাৎ এবং কথোপকথনের চেয়ে চিঠিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন নির্জনতাপ্রিয় এই কবি। নিয়মিতই চিঠিপত্র লিখেছেন। পরিতাপের বিষয়,তাঁর অনেক অনেক চিঠি আমাদের হাতে পৌঁছল না,অপুনরুদ্ধারণীয়ভাবে হারিয়ে গেল কালের গর্ভে। জীবনানন্দ নিয়মিত চিঠি লিখতেন,যতœ নিয়ে। তাঁর লেখার খাতা খুলে পাওয়া যাচ্ছে অনেক চিঠির খসড়া,অনেক ক্ষেত্রে চিঠি ডাক করার আগে সেটির অনুলিপি করেছেন। তাঁর চিঠিগুলোতে একজন আত্মবিশ^াসী,সৌজন্যসুন্দর এবং অকপট ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়,যিনি মানবিক সম্পর্কের ব্যাপারে আন্তরিক,যাঁর পরিমিতিবোধ অগাধ,যাঁর বিনয় প্রশস্ত ও অবিচল। একই সঙ্গে আত্মমর্যাদা সচেতন। ব্যক্তিমানসের বিশ^স্ত ছবি ফুটে উঠেছে চিঠির পঙ্ক্তিতে পঙ্ক্তিতে। যথাযথ ও নির্ভুলভাবে কবিতা মুদ্রণ নিয়ে অবিরাম দুশ্চিন্তা,বেকারত্ব ও সীমাহীন আর্থিক দুরবস্থা,চাকরির জন্য অসহায় প্রচেষ্টা,ব্যক্তিজীবনের নিঃসঙ্গতা,অন্যের কীর্তি ও প্রতিভার প্রতি ঈর্ষাহীন শ্রদ্ধা,গুরুজনদের ব্যাপারে দায়িত্ববোধ ইত্যাদি নানাবিধ জীবনানন্দীয় বৈশিষ্ট্যের অভিজ্ঞান এই চিঠিগুলো। বেশ কয়েকটি চিঠি তাঁর সাহিত্যবিষয়ক মতাদর্শ ও ধ্যানধারণার অকৃত্রিম স্বাক্ষর বহন করে আছে। সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেছেন,“চিঠিপত্রে অত্যন্ত অন্তরঙ্গ কবি ছিলেন তিনি। তাঁর চিঠি পেলে মনে হতো,সব সময় তিনি কবিতার কথা ভাবেন। এমন তো কেউ ভাবেন না,রবীন্দ্রনাথেরও অন্যান্য ভাবনা আছে। কিন্তু কবিতার দুর্ভাবনা ছাড়া কি এই ব্যক্তিটির ভাবনার মতো আর কিছু নেই?”
বইয়ের নাম | জীবনানন্দ পত্রাবলি |
---|---|
লেখক | |
প্রকাশনী | পাঠক সমাবেশ |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |