দ্য চিফ উইটনেস
প্রতি রাতেই ক্রন্দনরত মেয়েরা আমার বিছানার পাশে জড়ো হতো। তাদের ঘনকালো চোখগুলো ছিল চওড়া। তাদের চুল ছেঁটে দেওয়া হয়েছিল। তারা কেঁদে কেঁদে অনুনয় করে বলত, ‘বাঁচান, প্লিজ, বাঁচান আমাদের!’
স্বৈরাচারী শাসনের সবচেয়ে মারাত্মক ভুক্তভোগী হয় নারী। অসহায়ত্ব ও লজ্জা নামক পিশাচের ভয় দেখিয়ে তারা আমাদের দমন করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। তারা আমাদের ওপর যে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে, সেজন্য আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত নয়। আমার দায়িত্ব এখন সেই সত্যকে উন্মোচন করা। তাই আমি নিজের পায়ে শক্ত হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আমি আজ নিথর, লাশের মতো প্রাণহীন।
বন্দিশিবিরের সেই জীবনের পর আমি মাঝে মাঝেই বিছানা থেকে উঠতে পারি না। সেখানে বরফশীতল কংক্রিটের মেঝেতে বহুদিন আমাকে ঘুমোতে হয়েছে। হাত-পা আর গিরার সেই অসহ্য যন্ত্রণা আমাকে আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। একসময়কার প্রাণবন্ত এক যুবতী এখন ৪৩ বছরের এক অসুস্থ, রুগ্ন মহিলা। কিছু সময়ের জন্য অস্বস্তিকর ঘুমে ডুব দিলেও দুঃস্বপ্ন এখনো আমাকে জাগিয়ে তোলে।
সেই উঁচু কাঁটাতারের বেড়ার পেছনে থাকা নারী, শিশু, পুরুষ, বৃদ্ধ—তাদের একমাত্র অপরাধ ছিল কাজাখ, উইঘুর বা পূর্ব-তুর্কিস্তানে মুসলিম হয়ে জন্মগ্রহণ করা। ফাতিমা, হুসাইনের মতো মুসলিম নাম থাকাই তাদের জন্য কাল হয়েছে।
বইয়ের নাম | দ্য চিফ উইটনেস |
---|---|
লেখক | আলেক্সান্দ্রা ক্যাভেলিয়াস সায়রাগুল সাউতবেই |
প্রকাশনী | ফাউন্টেন পাবলিকেশন্স |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০২৪ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 192 |
ভাষা | বাংলা |