ইয়েমেন ক্রাইসিস
২০১১ সাল। সুদূর উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ায় জ্বলে ওঠা আরব বসন্তের ছোঁয়া এসে লাগে মধ্যপ্রাচ্যের সর্বদক্ষিণের দরিদ্র দেশ ইয়েমেনে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহের পদত্যাগের পর উত্থান ঘটে হুথি বিদ্রোহীদের, শুরু হয় এক রাজনৈতিক অস্থিরতা। শিয়া সম্প্রদায়ের একটি অংশ হিসাবে হুথিদের উত্থান সউদি আরবের জন্য হয়ে ওঠে অস্বস্তি ও ভয়ের কারণ। ফলে দ্রুতই ইয়েমেন পরিণত হয় সউদি-ইরান প্রক্সি যুদ্ধের কুরুক্ষেত্রে। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের কৌশলগত রুট হিসাবে এই যুদ্ধ কেবল সউদি-ইরানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। নাটকীয়ভাবে একেক করে এসে যুক্ত হয় জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, লোহিত সাগর তীরবর্তী আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলো এবং হর্ন অব আফ্রিকার দেশসমূহ।
কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সকল পক্ষকে ইয়েমেনে টেনে আনল? কাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকায় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয় ঘটেছিল দরিদ্র এই দেশে, যার বলি হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ? অবশেষে এত মৃত্যু, ধ্বংস ও রক্তের বিনিময়ে কার কী অর্জন হলো বা খোয়া গেল? এই বই আপনাকে নিয়ে যাবে আন্তর্জাতিক রাজনীতির চূড়ান্ত জটিল, কুটিল ও ভয়ংকর এক গোলকধাঁধায়, যা বিশ্বরাজনীতি সম্পর্কে আপনার গতানুগতিক ধারণায় এক প্রবল ঝাঁকুনি তৈরি করবে।
বইয়ের নাম | ইয়েমেন ক্রাইসিস |
---|---|
লেখক | নোয়েল ব্রিহোনি স্টিফেন ডে |
প্রকাশনী | ফাউন্টেন পাবলিকেশন্স |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০২৪ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 288 |
ভাষা | বাংলা |