বই : টোয়েন্টি থাউজেন্ড লিগস আন্ডার দ্য সি

মূল্য :   Tk. 0.0
 

নড়েচড়ে বসেছে পুরো বিশ্ব। একের পর এক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সমুদ্রগামী জাহাজ। আন্তঃমহাসাগরীয় জলপথে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে রহস্যময় এক সাগরদানব। গুজবের ডালপালা উপকূলবর্তী সাধারণ অধিবাসী কিংবা মূল ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের দারুণভাবে আলোড়িত করলেও এর ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়েছে পেশাদার সি-ম্যানদের ওপর। বণিক,জাহাজমালিক,জাহাজের কাপ্তান থেকে শুরু করে ইউরোপ আমেরিকার মাস্টার মেরিনার আর বিভিন্ন রাষ্ট্রের নেভাল অফিসাররা পুরো ব্যাপারটায় ভয়ানক বিব্রত,হতচকিত,কিংকর্তব্যবিমূঢ়। চুরুটাকৃতির রহস্যময় এই দানবের গা থেকে ঠিকরে বেরোয় জ্বলজ্বলে আভা। বিশালাকৃতির তিমির চেয়েও এটি বহুগুন বড় আর অকল্পনীয় দ্রুতগতি সম্পন্ন। লোকজনের মুখে মুখে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এর আকার-আকৃতি। এক সময় এই আজব জিনিসটির আকৃতি দাঁড়াল প্রস্থে মাইল খানেক আর দৈর্ঘ্যে তার তিনগুন। জনমতের চাপে রহস্যময় এই নারহোয়েলের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রস্তুতি নিল দি স্টেটস অব দ্য ইউনিয়নের দ্রুতগতির ফ্রিগেট,দি আব্রাহাম লিঙ্কন। নৌবাহিনীর অস্ত্রাগার খুলে দেয়া হল। কমান্ডার ফ্যারাগুট নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়লেন তার ফ্রিগেটকে নারহোয়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অস্ত্রসজ্জিত করতে। অভিযানের আমন্ত্রণ পেয়ে নিজের কর্ম সহায়ক কনসিলকে নিয়ে জাহাজে হাজির হলেন ফরাসি প্রকৃতিবিদ প্রোফেসর পিয়েরে অ্যারোন্যাক্স। সাথে যোগ দিল দুর্ধর্ষ কানাডিয়ান হার্পুনার নেড ল্যাণ্ড। শিকারের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করল দি আব্রাহাম লিঙ্কন। কিন্তু শিকারি নিজেই পরিণত হল শিকারে। রহস্যময় জাহাজ নটিলাসে আশ্রয় মিলল প্রফেসর অ্যারোন্যাক্স,কনসিল আর নেড ল্যান্ডের। সেই সাথে সাক্ষি হয়ে রইলো রহস্যময় ক্যাপ্টেন নিমোর সঙ্গী হিসেবে সাগরতলে বিশ হাজার লিগ পরিভ্রমণের এক ঐতিহাসিক ঘটনার। প্রিয় পাঠক/পাঠিকা,আপনারাও হতে যাচ্ছেন নতুন এক ইতিহাসের অংশ। জুল ভার্নের “টুয়েন্টি থাউজেন্ড লিগস আন্ডার দ্য সি” প্রথম প্রকাশের দেড়শো বছর পর,এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ পড়ছেন বাংলা ভাষায়। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে আপনাদের সাদর আমন্ত্রণ নটিলাসের রহস্যময় ভূবনে।

বইয়ের নাম টোয়েন্টি থাউজেন্ড লিগস আন্ডার দ্য সি
লেখক জুল ভার্ন  
প্রকাশনী নটিলাস প্রকাশনী
সংস্করণ
পৃষ্ঠা সংখ্যা
ভাষা

জুল ভার্ন