মহাপ্রলয়
কিয়ামত কবে হবে—সেই দিন তারিখ কাউকে জানানো হয়নি। এই ইলম আল্লাহ নিজের কাছে রেখেছেন। ইসরাফিল ফেরেশতা শিঙ্গায় ফুঁক দেবার জন্য অপেক্ষায় আছে, যে ফুঁৎকারে ধ্বংস হয়ে যাবে সব কিছু, আবার হবে পুনরুত্থান, একত্র হবে হাশরের ময়দানে, দাঁড়াবে ন্যায় বিচারের কাঠগড়ায়। প্রতিটি বিষয়ের সূক্ষ্ম হিসাব হবে। আমলের তালিকায় অণু পরিমাণ কাজও বাদ যাবে না। আমাদের কল্পনার চেয়েও ভয়াবহ কিয়ামতের দিন।
.
তবে কিয়ামতের নিদর্শনগুলো কী কী তা আমাদের নবিজি ﷺ জানিয়ে গেছেন। এই নিদর্শনগুলোকে ছোট-বড় দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। ছোট নিদর্শনের মধ্যে যেমন, স্বামী অনুগত হবে স্ত্রীর, সন্তান মায়ের অবাধ্যতা করবে, বাবাকে দূরে সরিয়ে দেবে এবং বন্ধুকে নিকটবর্তী বানাবে। গায়িকা, নর্তকী ও গান-বাদ্যর ব্যাপক প্রসার ঘটবে। মদপানকে নানান নামে হালাল সাব্যস্ত করবে। উম্মতের পরবর্তী লোকেরা পূর্ববর্তী লোকদের অভিশাপ দিবে। লজ্জা-শরম হারিয়ে যাবে। প্রকাশ্যে যিনা হবে। সমকামিতার বিস্তার ঘটবে। আর বড় নিদর্শনসমূহের ভিতর, ইমাম মাহদীর আবির্ভাব, দাজ্জালের প্রকাশ, ঈসা আ.-এর অবতরণ। তারপর…
.
কিয়ামত বিষয়ে অনেক বই পাওয়া যায়। যেহেতু কিয়ামত ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত জ্ঞান, আর ভবিষ্যৎ জানার ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ বেশি, তাই এই আবেগকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই নবিজির নামে মিথ্যা হাদীসও রচনা করেছে। এছাড়া এই বিষয়ে বহু দুর্বল বর্ণনাও ছড়িয়ে আছে বইপত্রে। এই দিক থেকে আরবের বিখ্যাত আলিম ড. আব্দুর রহমান আরিফীর রচিত ‘মহাপ্রলয়’ বইটি অনন্য। অনন্য এই কারণে যে, এতে শুধুমাত্র বিশুদ্ধ বর্ণনাগুলোই জায়গা পেয়েছে, এবং অতীতে প্রকাশিত কিয়ামতের আলামতগুলো রঙিন ছবিসহ যুক্ত আছে। ছোট-বড় নিদর্শনগুলো লেখা হয়েছে স্বতন্ত্র শিরোনামে। ফলে ষোল থেকে ষাটোর্ধ যে কোনো বয়সী পাঠক সহজেই বুঝতে পারবে এবং স্মরণ রাখতে পারবে।
বইয়ের নাম | মহাপ্রলয় |
---|---|
লেখক | ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী |
প্রকাশনী | হুদহুদ প্রকাশন |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০১৫ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 292 |
ভাষা | বাংলা |