পৃষ্ঠা: ৩০৪ (হার্ড কভার)

বনি আদমের যে কয়জন নারী সর্বাধিক সম্মান্বিত এবং মর্যাদার অধিকারী, তাদের মধ্যে মারয়্যাম আ., ফিরআউনের স্ত্রী আসিয়া আ., রসূল ﷺ এর দুজন স্ত্রী খাদিজাহ রাযি এবং আইশাহ রাযি.।
তাদের প্রত্যেকের কিছু কমন বৈশিষ্ট্য ছিল, যা তাদেরকে এত উঁচু মর্যাদার অধিকারী হতে সহায়ক হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে, আল্লাহর শরিয়াহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। পরিবেশ পরিস্থিতি যতটাই প্রতিকূলে থাকুক, তারা দ্বীনে ইলাহির রজ্জু শক্ত করে ধরে থেকেছেন।
.
কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, যেদিন থেকে মুসলিম নারীরা ঘর ছেড়ে দুনিয়া অর্জনে পুরুষের সাথে কাধে কাধে মিলিয়ে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হলো, সেদিন থেকে উম্মাহ মারয়্যাম, খাদিজা, আয়িসাহ রাযি. দের মত মুসলিমাহদের হারাতে শুরু করল। পিছিয়ে গেল মুত্তাকীদের প্রতিযোগীতায়। ইলম অর্জনে আজ এতটাই পিছিয়ে যে, এই অবস্থা লিখে বলার মত না।
.
নারী সমাজের জন্য দ্বীনি ইলম সম্পৃক্ত গ্রন্থ বই রচনা করা এখন সময়ের দাবী। যে কিতাবের আহ্বান হবে দ্বীনের পথে ফিরে আসার, এবং দিক নির্দেশনা মিলবে জান্নাতের উঁচু মাকামে পৌছার। নারীদের যাবতীয় মাসআলা নিয়ে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য একটি বই হচ্ছে ‘আহকামুন নিসা’। হানাফি ফিকহের আলোকে রচিত। ঠিক এরকমই একটি অসাধারণ বই ‘মহিলা মাসাইল’। আরবের শীর্ষস্থানীয় তিন জন স্কলার- শায়খ আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায; শায়খ মুহাম্মাদ ইবন উসায়মীন; শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল জিবরীন ও স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির থেকে নির্বাচিত নারী বিষয়ক সকল জাওয়াব এই গ্রন্থে সংকলন করা হয়েছে। মুসলিম নারীর আকিদা বিশ্বাস থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত যাবতীয় ফরজ এবং ওয়াজিব ইলম এক কভারে। আমাদের যেসব বোনেরা কুরআন সুন্নাহের আলোকে ইলমে দ্বীনের ফরজ পরিমাণ ইলম অর্জন করতে চান, তাদের জন্য আবশ্যক পর্যায়ের বই এটি। ৩০৪ পৃষ্ঠার এই বইতে মুসলিম নারীর এমন কোনো বিষয় নেই, যা নিয়ে আলোচনা আসেনি।

শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল জিবরীন


শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমীন (রহঃ)


শাইখ বিন বায (রঃ)


সৌদি আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি