জাগরণ প্যাকেজ (৩টি বই)
ইন্টারফেইথ:
এক.
বাহ্যিক সৌন্দর্যে ধোঁকা খাওয়া মানুষের জনপ্রিয় স্বভাব। যদিও সবাই জানে, সুন্দরের পেছনেই লুকানো থাকে জঘন্য কুৎসিত অবয়ব। ইন্টারফেইথ তেমনই এক সুন্দরের নাম—যার পেছনে লুকিয়ে আছে এক অসুন্দর, কুৎসিত, ভয়ানক ও জঘন্য অবয়ব।
খুব কম মানুষই এর ধোঁকা থেকে বাঁচতে পারছে। কারণ, ভেতরটা কুৎসিত হলেও কখনো শব্দের মারপ্যাঁচে, কখনো সত্য গোপন করে এটা মুমিনের ঈমান হরণ করছে। ফলে ভয়ংকর এক ফিতনার মুখোমুখি মুসলিম উম্মাহ।
এই শয়তানি চক্র ও তার চেলা-চামুণ্ডারা উম্মাহর সামনে এই ফিতনাকে হাজির করেছে ‘আন্তঃধর্মীয় সংলাপ’, ‘আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি’ ছাড়াও আরও অনেক সুন্দর সুন্দর নামে। এই বই উন্মোচন করছে এর লুকানো চেহারা, ভেতরের কাহিনি ও নির্ভরযোগ্য ইতিহাস।
দুই.
সৌন্দর্যে প্রলুব্ধ হওয়া মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি, যদিও বাহ্যিক সৌন্দর্যের পেছনে অনেক সময় কুচ্ছিত ফাঁদ থাকে। ইন্টারফেইথ তেমনই এক সৌন্দর্য, যার আড়ালে ওঁৎ পেতে আছে জঘন্য ষড়যন্ত্র।
ভেতরটা কুচ্ছিত হলেও কখনো শব্দের মারপ্যাঁচে ভুলিয়ে, কখনো সমঝোতার নামফলক ঝুলিয়ে এটা মুমিনের ঈমান হরণ করছে। ফলে মুসলিম উম্মাহ এক ভয়ঙ্কর ফিতনার মুখোমুখি।
শয়তানি চক্র উম্মাহর সামনে এই ফিতনাকে হাজির করছে ‘আন্তঃধর্মীয় সংলাপ’, ‘আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি’ ইত্যাদির মুখোশ পরিয়ে। এই বই সেসব মুখোশ খুলে দিয়েছে।
র্যান্ড কর্পোরেশন:
মুসলিম বিশ্বে পশ্চিমা আদর্শিক যুদ্ধটা শুরু হয়ে গিয়েছিল উসমানি খিলাফতের পতনের আগেই। ৯/১১-এর পর এসে সেটা রূপ নেয় সীমিত আকারের সামরিক আগ্রাসনে। সঙ্গে যুক্ত হয় বিস্তৃত মতাদর্শিক একটা যুদ্ধ।
সামরিক আগ্রাসনের লক্ষ্য ছিল ইসলামি বিপ্লব একেবারে নির্মূল করা। আর আদর্শিক যুদ্ধের লক্ষ্য ছিল যেকোনো মূল্যে বিশুদ্ধ শরিয়া বাস্তবায়নের আকাঙ্ক্ষা মুসলিমদের অন্তর থেকে মুছে ফেলা। ফলে ঘোষণা করেছিল—আমরা এমন একটি ইসলাম চাই, যা পশ্চিমা সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছিল পশ্চিমের গৃহপালিত প্রাচ্যবিদ ও তাদের অনুসারীরা। সবচেয়ে গুরু্ত্বপূর্ণ কাজ করেছিল র্যান্ড কর্পোরেশন; র্যান্ডের সিভিল ডেমোক্রেটিক ইসলাম : পার্টনারস, রিসোর্সেস, স্ট্র্যাটেজিস ছিল পশ্চিমের সেই আদর্শিক যুদ্ধের মূল প্রস্তাবনা। এই বই প্রকাশ করতে চায় র্যান্ড কর্পোরেশনের পরিচয়, তাদের গবেষণা-কর্মকাণ্ড ও তার চাঁছা-ছোলা পর্যালোচনা।
দ্যা মানি মাস্টার্স:
১৯৩৬ সালে সরকারি আদেশে নক্স ক্যাসেলে জমল ৭০২ মিলিয়ন আউন্স সোনা, যা বিশ্বের মোট সোনার ৭০ ভাগ। কিন্তু ১৯৭১ সালেই তা পুরোপুরি গায়েব হয়ে গেল। ১৯৭৪ সালে গায়েব হওয়া সোনার হদিস নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার রাতেই আকস্মিকভাবে সংবাদের বেনামি লেখক লুইস অচিনক্লস বয়ার মারা গেল! কী হয়েছিল তার সঙ্গে?
পুরো পৃথিবীর অর্থব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে গুটিকয়েক মানুষ। ধীরে-ধীরে সবাই জিম্মি হচ্ছে তাদের হাতে। ভবিষ্য মানুষের জন্য কী অপেক্ষা করছে তাহলে?
‘একটি নজিরহীন বিস্ফোরণ ঘটতে যাচ্ছে। বেশিভাগ লোকই তাদের টাকা হারাবে; তার চেয়েও বড় কথা, অল্প কিছু লোক বিপুল সম্পদের মালিক হবে। কারণ, অর্থনৈতিক বিপ্লবে সম্পদ ধ্বংস হয় না, বরং ‘হস্তান্তরিত’ হয়।’—ল্যারি ব্যাটস
বাস্তবতা এমন হলে আমাদের বাঁচার উপায় কী? এই বইয়ে মিলবে এইসব প্রশ্নের উত্তর।
বইয়ের নাম | জাগরণ প্যাকেজ (৩টি বই) |
---|---|
লেখক | মুহিউদ্দীন মাযহারী |
প্রকাশনী | দারুল ইলম |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |