সহীহ হাদীসের আলোকে হানাফীদের নামায
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪৯৬
ভারত উপমহাদেশে বসবাসরত আমাদের কারও অজানা নয় যে, এদেশে কিছু মানুষের মেজাজ খুবই উগ্র। নিজ মত বা দর্শনের বিপরীত কোনো কিছু দেখলেই তার বিরোধিতা করে। এমনিতে বিরোধিতা করা দোষের কিছু নয়, কিন্তু কেউ সমালোচনার সীমা ছাড়িয়ে কারও বিরোধিতা করলে তা হয় চরম অন্যায়। আমাদের দেশে দুধরনের আহলে হাদিস ভাই আছেন। কিছু ভাই আছেন, মাশাআল্লাহ! যথেষ্ট বিনয়ী, ভদ্র ও ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আর কিছু ভাই আছে, যারা অনেকটা উগ্র টাইপের। নিজ মতের বাইরে কাউকে যেতে দেখলে গোমরাহ, জাহান্নামি ও মুশরিক বলে অভিহিত করে। অশ্রাব্য ভাষায় বড় বড় ইমামদের গালিগালাজ করে। এরা মূলত বিচ্ছিন্ন একটি শ্রেণি,যাদের সাথে না সমাজের কোনো নিবিড় সম্পর্ক আছে আর না ইসলামের মৌলিক নীতিমালার সাথে কোনো যোগসাজস আছে। এদের কাজ হলো, সমাজে ভিন্ন মতালম্বীদেরকে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করা। আমাদের সমাজে যেহেতু হানাফি মতালম্বী লোক বেশি, তাই ক্ষুদ্র এ গোষ্ঠি হানাফি মাজহাবের ওপর নগ্ন হামলা শুরু করেছে। হানাফি মাজহাবের বিভিন্ন প্রমাণিত মাসআলাগুলোকে সমাজে ভুয়া বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ এগুলো ভুয়া ও ভিত্তিহীন কোনো মাসআলা নয়। সবগুলোর পিছনেই রয়েছে শক্তিশালী ও মজবুত দলিল। আপনি বেশির চেয়ে বেশি উত্তম-অনুত্তম নিয়ে ইখতেলাফ করতে পারেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত কোনো মাসআলাকে ভুয়া বলার দুঃসাহস আপনাকে কে দিয়েছে? এ ধরনের সীমালঙ্ঘনকারী কিছু আহলে হাদীসদের প্রচারিত একটি লিফলেটের জবাবেই মূলত এ গ্রন্থটি রচনা করা। ২০১৩ সাল থেকে কাজ শুরু করেছি। ২০১৬ সালে এসে কাজ শেষ হয়েছে। এরপর ২০১৮ পর্যন্ত সম্পাদনা, পরিমার্জন-পরিবর্ধনসহ বিভিন্ন ঘষামাজার কাজ চলেছে। অবশেষে ২০১৮ সালের শেষদিকে এসে বইটি আলোর মুখ দেখল।
বইয়ের নাম | সহীহ হাদীসের আলোকে হানাফীদের নামায |
---|---|
লেখক | মুফতি তারেকুজ্জামান |
প্রকাশনী | দারুল কুরআন |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |