বই : আলাদা ঘর

মূল্য :   Tk. 100.0   Tk. 75.0 (25.0% ছাড়)
 

আলাদা ঘর’ উদ্যোগটিতে পিছিয়ে পড়া কমিউনিটিগুলোর জন্য কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কিভাবে নিরাপদ ‘শারীরিক দূরত্ব’ বজায় রাখা, প্রতিদিনের জীবনে ‘আইসোলেশন’ ও ‘কোয়ারেন্টাইন’ মেনে চলা, এবং সংক্রমিত ব্যক্তিদের অস্থায়ী বসবাসের জন্য আলাদা কাঠামো নির্মাণ করা যায় — এসব বিষয়ের উপর কিছু সহজ নির্দেশনা ও প্রস্তাবনা একটি বইয়ে একত্রিত করা হয়েছে ।

এখানে ‘কমিউনিটি’ বলতে আমরা বুঝি –

১) যারা একই জায়গায় (ভৌগোলিক স্থানে) বসবাস করছেন এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণ এর সাথে লড়াই এর ক্ষেত্রে তথ্য, অভিজ্ঞতা বা সম্পদের অভাবে অসুবিধায় পড়ছেন, ২) দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজের জন্য যারা কিছু সম্পদ ও স্থান ভাগাভাগি করে ব্যবহার করছেন (যেমন, উঠান, কলপাড়, রাস্তা, বাজার, খোলা জায়গা ইত্যাদি) যার কারণে সংক্রমনের ঝুঁকি বেড়ে যায়,

৩) একই এলাকায় বসবাসের ফলে একেকটি মানুষ বা পরিবারের মধ্যে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে – যেমন, একই ধরনের পেশা, নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক বা যোগাযোগ, একই ধরনের প্রতিকূলতা বা দক্ষতা যা তাদেরকে একসাথে কাজ করার ও পরিকল্পনা করার জন্য উৎসাহিত করে, এবং

৪) এবং সবচেয়ে জরুরি ব্যাপারটি হল, কমিউনিটি হিসেবে নিজেদের নেতৃত্বে যাদের প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করার লক্ষ্যে দলবদ্ধ ভাবে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।

এই উদ্যোগটির যাত্রা শুরু হয় একটি প্রশ্ন দিয়ে — পিছিয়ে পড়া কমিউনিটিগুলো ঘনবসতিপূর্ণ বসতিতে কিভাবে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব, আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইন এর মতো পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারে? আমরা জানতাম এই প্রশ্নের সবচেয়ে ভালো উত্তর কমিউনিটির মধ্যে থেকেই আসা সম্ভব, এবং এই কারণেই কমিউনিটির সাথে সহ-সৃজন (co-creation) করা খুবই প্রয়োজন।
তাই ‘আলাদা ঘর’ উদ্যোগটি প্রাথমিক ভাবে বসবাসের পরিবেশ ও স্থানগত সমস্যার সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে শুরু হলেও এই প্রজেক্টের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, এই জরুরি সময়ে বাইরের সাহায্যের জন্য বসে না থেকে কমিউনিটি নিজেই কিভাবে তাদের বসতির বিদ্যমান সম্পদ ও দক্ষতা ব্যবহার করে স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারেন তা বোঝা। এর জন্য দরকার উদ্ভাবনী কাজ করার মনোভাব এবং সবাই মিলে কাজ করার শক্তিতে বিশ্বাস করা এবং সেই শক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি কমিউনিটি তাদের ক্ষমতা, পারস্পরিক সম্পর্ক ও সম্পদের দিক থেকে আলাদা ও একক। তাই আমরা আশা করি, যেকোনো কমিউনিটিই নিজের বাস্তব অবস্থা ও প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে এই বইটি থেকে সাহায্য নিতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন।

এখানে বলে রাখা জরুরি যে এই বইটি বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতি বা অবকাঠামোর বিকল্প নয়। যেখানে এই সেবাগুলি অনুপস্থিত বা স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে, সেখানে বইটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে।এত বিস্তৃত পরিসরে এই পুরো অঞ্চল নিয়ে এর আগে কোনো গবেষণা গ্রন্থ সম্ভবত প্রকাশিত হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস, সমা্‌ রাজনীতি, জনগোষ্ঠী ও অর্থনীতি বিষয়ে আগ্রহী গবেষক, লেখক, সাংবাদিক ও উৎসুক পাঠকের জন্য কার্পাস মহল থেকে শান্তিচুক্তিঃ পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় নীতির ইতিহাস একটি অবিকল্প গ্রন্থ।

সূচি

১) করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ কি?
২) আলাদা ঘর কি?
২.১) নতুন করে আলাদা ঘর তৈরি

২.২) খালি বা অব্যবহৃত ভবনে আলাদা ঘর তৈরি
২.৩) নিজ বাসায় আলাদা ঘর তৈরি
৩) বসতির জন্য নিয়মাবলি
৩.১) কারা হবে বসতি থেকে সেবাদানকারী?
৪) রোগীর জন্য নিয়মাবলি
৫) রোগীর পরিবারের জন্য নিয়মাবলি
৬) সেবাদানকারীর জন্য নিয়মাবলি

বইয়ের নাম আলাদা ঘর
লেখক
প্রকাশনী দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড(ইউ পি এল)
সংস্করণ প্রথম প্রকাশ, ২০২০
পৃষ্ঠা সংখ্যা 128
ভাষা বাংলা