কৃতিকথন (টেক জগতের জিনিয়াসদের কথা)
একটা সময় ছিলো যখন মানুষের ঘরে ঘরে কম্পিউটার ছিলো না, ইন্টারনেট ছিলো না, কিংবা হাতে হাতে মোবাইল ফোন ছিলো না। তখন একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য চিঠি লিখে উত্তরের জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হতো। শুনে হয়তো মনে হতে পারে অনেক পুরোনো দিনের কথা বলা হচ্ছে। অথচ, মাত্র কয়েক দশক আগেও এই বাংলাদেশেই এমন অবস্থাই ছিলো। তারপর রাতারাতি মানুষের জীবনযাত্রা অভিনবভাবে পরিবর্তিত হয়ে যেতে লাগলো। এখন আমরা দূর-দূরান্তে নিমিষে ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারি, কয়েক মিনিটে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে টাকা লেনদেন করতে পারি, ঘরে বসেই করে ফেলতে পারি বিস্তর কেনাকাটা এবং ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে অভূতপূর্ব সমস্যাগুলো নিমিষে সমাধান করে ফেলতে পারি। আমরা এখন অফিস আদালতের অসংখ্য কাগজ কলমের কাজ, ফাইল চালাচালির ঝক্কি-ঝামেলা কি-বোর্ড বা মাউসের কয়েকটি ক্লিকেই সেরে ফেলতে পারি।
আমাদের জীবনযাত্রার এই অভাবনীয় পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে নিত্যনতুন টেকনোলজির অবদান। আর টেকনোলজির এই অবিশ্বাস্য দ্রুতগতির অগ্রযাত্রার পেছনে রয়েছে আমাদের সময়কার কিছু জিনিয়াসদের অনস্বীকার্য অবদান। এই জিনিয়াসদের মধ্যে রয়েছেন কিছু বিশ্ববরেণ্য গণিতবিদ, ধীমান কম্পিউটার বিজ্ঞানী, দুঃসাহসী উদ্যোক্তা এবং দুরদর্শী ব্যবসায়ী। তাদের একেক জনের অবদানই টেক জগতে ভুয়সী পরিবর্তন এনেছে। এসব পরিবর্তন আজ আমাদের জীবনযাত্রাকে এমনভাবে প্রভাবিত করেছে যে, বলতে গেলে, এগুলো ছাড়া আমাদের এখন আর এক মুহুর্তও চলে না।
এমন কিছু মানুষের জীবনবৃত্তান্ত ও তাদের উদ্ভাবনের ইতিহাস নিয়ে তামান্না নিশাত রিনির বই কৃতিকথন। যদিও এঁদের সবাইকে হরে-দরে টেক জগতের জিনিয়াস বললে কিছুটা কমই বলা হয়ে যায়, কেননা এঁদের এসব অবদান টেকজগতের বাইরে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায়ও বিস্তর প্রভাব ফেলেছে।
বইটি পড়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট অনুপ্রাণিত হবে বলে আমার বিশ্বাস। এই জিনিয়াসদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তারা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জগতে দৃঢ়ভাবে পদচারণা করতে পারবে এবং জাতি হিসেবে আমাদের আরো সম্মানিত অবস্থানে নিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা করি।
লেখককে সাধুবাদ জানাই এমন কিছু বিদগ্ধ মানুষের জীবনবৃত্তান্ত সংকলন করার জন্য। সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
- তাহমিদ রাফি,
- সফটওয়্যার প্রকৌশলী ও লেখক
বইয়ের নাম | কৃতিকথন (টেক জগতের জিনিয়াসদের কথা) |
---|---|
লেখক | তামান্না নিশাত রিনি |
প্রকাশনী | দ্বিমিক প্রকাশনী |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০১৯ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 216 |
ভাষা | বাংলা |