কুরআন হাদিসের আলোকে খতমে নবুওয়াত
কাদিয়ানীদের বই পত্রের মাঝে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে যারা নবী হিসেবে স্বীকার করে না তাদেরকে কাফের আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তাদের একটি প্রসিদ্ধ গ্রন্থ 'হাকীকাতুন নবুওয়াহ'তে বলা হয়েছে, মির্জা গোলাম আহমদ ঐ অর্থে নবী, যে অর্থে পূর্ববর্তী হযরত মুসা ও ঈসা আলাইহিস সালাম নবী ছিলেন। যেমনিভাবে কোনো একজন নবীকে অস্বীকারকারী কাফের, তেমনিভাবে মির্জা গোলাম আহমদের নবুওত অস্বীকারকারীও কাফের। (নাউযুবিল্লাহ) এভাবে কাদিয়ানী সম্প্রদায় নিজেদের মুসলিম পরিচয় দিয়ে ধোঁকা ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে ইসলামের নামে একটি নতুন ধর্মমতের প্রচারণা চালিয়ে মুসলিম সমাজে অশান্তি ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে।
কাদিয়ানীদের আরেকটি কুফরীবিশ্বাস, হাদিসে নাকি দুই ঈসার বর্ণনা রয়েছে। অতএব শেষ যুগে আগমনকারী ঈসা আ. পূর্বের ঈসা নন; বরং তিনি সেই ঈসা যার গায়ের রং গোধুম বর্ণের এবং মাথার চুল সোজা। যাকে রাসূল সা. স্বপ্নযোগে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করতে দেখেছিলেন। মির্যা কাদিয়ানী হলেন সেই গোধুম (বাদামী) বর্ণের ঈসা। (সংক্ষেপে )
তাদের এই অসার দাবী খণ্ডনে বলা হবে যে, হাদিসে দুই ঈসার বৃত্তান্ত থাকার দাবী করা সম্পূর্ণরূপে একটি ভুল ও ভ্রান্ত দাবী। পাশাপাশি আহমদিবন্ধুদের নিকট আমার জিজ্ঞাসা, গত চৌদ্দশত বছরের ইসলামের ইতিহাসকে চরমভাবে উপেক্ষা করে, অসংখ্য সহীহ হাদীসকে নিজেদের ইচ্ছেমত ব্যাখ্যা দিয়ে ও সকল যুগেরইমাম, মুফাসসির, মুজতাহিদ এমনকি মুজাদ্দিদগণের বক্তব্যকেও পাশ কেটে সেফ মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানির স্বরে স্বর মিলিয়ে একথা বিশ্বাস করা যে, ঈসা আ. বেঁচে নেই, তিনি এখন মৃত; আরও বিশ্বাস করা যে, হাদিসে দুই ঈসার বৃত্তান্ত এসেছে, তাই আগত সেই ঈসা আ. দ্বারা একজন রূপক ঈসা তথা মির্যা গোলাম আহমদই উদ্দেশ্য। এটা চরম বোকামী আর অন্ধ অনুকরণ বৈ কিছু নয়। তাদের ধারণা যদি সত্য হয় তাহলে আহমদি বন্ধুরা নিচের প্রশ্নগুলোর জবাব কিভাবে দিবেন?
বইয়ের নাম | কুরআন হাদিসের আলোকে খতমে নবুওয়াত |
---|---|
লেখক | মুফতি ফয়জুল্লাহ আমিন কাসেমী (কিবরিয়া) |
প্রকাশনী | ফুলদানী প্রকাশনী |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০২১ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 96 |
ভাষা | বাংলা |