নাজমুদ্দিন এরবাকান: নতুন বিশ্বব্যবস্থার প্রস্তাবক ও মহান মুজাহিদ
কোনো চিন্তা যদি অনেক বেশি শক্তিশালী কিংবা বহুমাত্রিক না হয় তাহলে সে চিন্তা একসময় ইতিহাসের সামান্য একটি উপাদান হিসেবে রয়ে যায়। এবং ইতিহাসের গতি পরিবর্তনে তা কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। অর্থাৎ ইতিহাস বিনির্মাণের অনুঘটক হতে হলে শক্তিশালী এবং বহুমাত্রিক চিন্তাকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। মুসলিম মানসের উপর পাশ্চাত্যের আরোপিত আধুনিকতাবাদের বিপরীতে সবচেয়ে শক্তিশালী চিন্তা হচ্ছে ‘মানবতার মুক্তি আন্দোলন’।
ইসলামী পুনর্জাগরণ আন্দোলনের প্রবাদপুরুষ, মহান মুজাহিদ প্রফেসর ড. নাজমুদ্দিন এরবাকান এমনই এক ব্যক্তিত্ব যিনি তাঁর শক্তিশালী চিন্তার সাহায্যে গত শতকের ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত আন্দোলন মিল্লি গরুশ (Milli Görüş) ইসলামী পুনর্জাগরণ আন্দোলনের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘরানা হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে অবিশ্বাস্য সব কাজের মাধ্যমে। তাই আজ পাশ্চাত্য সভ্যতার বিপরীতে আজীবন সংগ্রাম করে যাওয়া নাজমুদ্দিন এরবাকানের পরিচয় ‘উম্মাহর নেতা এবং মহান মুজাহিদ’।
ইসলামের পুনর্জাগরণ এবং প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁর অনবদ্য ভূমিকা এবং শক্তিশালী চিন্তার দরুন ইসলাম আজ নিজেকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে জানান দিচ্ছে গোটা ইউরোপ ও মধ্য এশিয়াতে। শুধুমাত্র নিজ দেশের স্বার্থের জন্য নয়; বরং মানবতার মুক্তি ও কল্যাণের জন্যই সংগ্রাম করেছেন আজীবন। পাশ্চাত্য তাঁর ভয়ে তটস্থ ছিল সবসময়, পাশ্চাত্য তাঁকে মনে করতো নিজেদের স্বার্থের পথে সবচেয়ে বড় বাধা। সুদানের ইসলামী আন্দোলনের নেতা হাসান তুরাবী তাই বলেছিলেন, ‘প্রফেসর ড. নাজমুদ্দিন এরবাকান এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত আন্দোলন মিল্লি গরুশ (Milli Görüş) পাশ্চাত্য দর্শন ও সভ্যতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি’।
সোনালী সে যুগের অনুপ্রেরণাকে সাথে নিয়ে প্রবল স্রোতের বিপরীতে অটুট মনোবলের দৃপ্ত শপথে তিনি সিংহের মতো লড়াই করে গিয়েছেন জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত।
যাঁর অনন্য কৃতকর্ম আজ লাখো যুবকের নীরব নিস্তব্ধ অন্তরে টর্নেডো বইয়ে দিয়েছে, ইসলামী আন্দোলনের সেই মহান নেতার বর্নাঢ্য জীবনীকে জানতে পড়ুন ‘নাজমুদ্দিন এরবাকান; নতুন বিশ্বব্যবস্থার প্রস্তাবক ও মহান মুজাহিদ’ বইটি।
বইয়ের নাম | নাজমুদ্দিন এরবাকান: নতুন বিশ্বব্যবস্থার প্রস্তাবক ও মহান মুজাহিদ |
---|---|
লেখক | আবিদ ইহসান |
প্রকাশনী | মক্তব প্রকাশন |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০২০ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 264 |
ভাষা | বাংলা |