ফেরাউনের কারাগার
শুক্রবার সকালবেলা। আমার ঘরে স্বৈরাচারের একদল গোলাম সিপাহি ঢুকল। শুরু করল তল্লাশি। তাদের কাছে ওয়ারেন্ট দেখতে চাইলাম। এতে একজন অবাক হয়ে বলল-‘কীসের ওয়ারেন্ট? মাথা ঠিক আছে তো! জামাল আবদুন নাসেরের যুগে ওয়ারেন্ট দেখতে চাও! আমরা জনগণের সাথে যা খুশি করতে পারি। আমাদের ওয়ারেন্ট লাগে না।’
আমায় কারাগারে নেওয়া হলো। সেখানকার প্রহরীরা ছিল একেকটা জল্লাদ। তারাও নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করত। কিন্তু তাদের ঔদ্ধত্য এতটাই বেড়ে গিয়েছিল, তারা নিজেদের অমানুষ থেকেও বেশি কিছু ভাবত।
জল্লাদদের অমানুষিক অত্যাচারের মধ্যে আমি বেঁচে ছিলাম শুধু এক আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাসকে পুঁজি করে। আল্লাহর ওপর অবিচল বিশ্বাস এমন এক শক্তি, যা অতি দুর্বল মানুষকেও অসাধারণ আত্মবিশ্বাসী মানুষে পরিণত করে। একফোঁটা দানাপানি ছাড়াও সেই অন্ধকার একাকিত্বের দিনগুলোতে আমি কী করে বেঁচে ছিলাম, তা ভেবে কারাগারের জল্লাদ-রক্ষীরাও বিস্মিত হতো! তারা মুখ বিকৃত করে বলত-‘কী রে, তুই এখনও বেঁচে আছিস?’
বইয়ের নাম | ফেরাউনের কারাগার |
---|---|
লেখক | জয়নাব আল গাজালী |
প্রকাশনী | মিরর পাবলিকেশনস |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |