মসজিদ
জাগতিক দুনিয়ায় মানবসৃষ্ট হতে পরম করুণাময় আল্লাহ্ সুবহানাহু তা‘আলার একত্ববাদকে মেনে নিয়ে মহান প্রভুর সন্তুষ্টির জন্য পৃথিবীর মুসলমানরা দিনে অন্তত পাঁচবার মসজিদে গমন করে থাকেন। কেউ বিপদে মুসিবতে কেউবা আবার আল্লাহ্ সুবহানাহু তা‘আলার প্রিয় বান্দা হবার জন্য। পৃথিবীর শুরু হতে সকল নবী রাসুলগণ ভিন্ন স্থান এবং ভিন্ন ঘরের মাধ্যম দিয়ে আবহমান কাল ধরে আল্লাহর নিকট সেজদায় মাথা নত করেছেন। মুসলিম ও ইসলাম এ দুটো বিষয় মসজিদের সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে অবিচ্ছেদ্য। সারা দুনিয়াতে প্রায় ১৩০ কোটি মুসলমান থাকার পরেও দেশে দেশে ইসলাম ও মসজিদের পরিপূর্ণ সমন্বয়সাধন করে সমাজের অবক্ষয় রোধ করতে পারছেনা।
জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর করা ও সারা দুনিয়ায় আল্লাহ্ তা‘আলার সার্বভৌমত্বের ঘোষণা করার জন্য, মসজিদে নববী প্রতিষ্ঠা করা তথা মসজিদে কুবা প্রতিষ্ঠা করে রাসূল (সা:) দুনিয়ায় মুসলমানদরে কাছে ইসলামকে পরিপূর্ণতার স্বাদ আস্বাদন করিয়েছেন। যে মসজিদে বসে রাসূল (সা:) সাহাবায়ে কেরামগণের সাথে আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন বপন করেছিলেন, সেই মসজিদে বসে রাসূল (সা:) পথভ্রষ্ট বিশ্ববাসীকে ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে আসার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে একজন সমর নায়কের ভূমিকা পালন করেছেন।
শতকোটি মুসলমানদের দুনিয়ায় প্রায় ২৫ লক্ষের অধিক মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হলেও মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববী দ্বারা তৎকালীন সময়ে গোটা পৃথিবীবাসীর জন্য যে ভূমিকা প্রমাণ করেছিলেন তা আজ কল্পনার মত ইতিহাসের পাতায় রয়ে গেছে মসজিদে হারাম, মসজিদে আল-আকসা এবং মসজিদে নববী দ্বারা নবী (সা:) গোটা পৃথিবীর জন্য এমন কিছু বার্তা এমন কিছু বাস্তব দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে গেছেন যা বর্তমান বিশ্বে মুসলমানরা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারলে মুসলমানরা হারানো গৌরব আবারো ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ।
বইয়ের নাম | মসজিদ |
---|---|
লেখক | মোঃ সালাউদ্দীন (মানিক) |
প্রকাশনী | মুসলিম ভিলেজ |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |