পশ্চিমের জ্ঞানবাণিজ্য
জ্ঞান অবশ্যপাঠ্য অনুষঙ্গ, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জ্ঞান কঠিনভাবে এর শেকড় বিস্তৃত করছে সমাজ-সংস্কৃতি ও রাজনীতিসহ যাপনের সব সম্পর্কগুলোতে। রাষ্ট্র নিজেও জ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দুতে অস্তিত্বশীল ও বাহক। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জ্ঞান বিশেষত পশ্চিমাদের জ্ঞানবাণিজ্য যে উত্তরৌপনিবেশিক সত্য-মিথ্যা অবয়ব নিয়ে উদ্ভাসিত হচ্ছে তা ভাবিয়ে তুলছে তা নয়, বরং শঙ্কাতাড়িতও করছে। কিন্তু জ্ঞান তত্ত্বায়ন রাষ্ট্র ও সামাজিক ক্ষমতার চেয়ে বেশি; এটা ক্ষমতা অর্জন ও বজায় রাখার একটি পদ্ধতি এবং ক্ষমতার প্রধান ভিত্তি, যেখানে ঔপনিবেশিকতা ও উত্তরৌপনিবেশিকতার উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নের অনিবার্য সত্যগুলোর ধারক ও বাহক। যদিও সম্প্রতি প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সামাজিক জ্ঞানের ক্ষেত্রগুলোকে পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি জটিল করে তুলেছে। আজকের বিশ্বে, সামাজিক শ্রেণিগত পার্থক্য শুধু অর্থনৈতিক কারণ দ্বারা বা সরাসরি নির্ধারিত হয় না। তাই জ্ঞানের তত্ত্ব এবং এর পাঠ একান্ত জরুরি হয়ে উঠছে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ অন্যান্য অপরিহার্য অনুষঙ্গগুলো যা যাপনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে এর সম্পর্কায়নের বিভিন্ন সহিংসতা-নির্যাতন ও শোষণে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেই সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা জরুরি। হামিদ রায়হান সেই চরম সত্যগুলোকে যাপনের সম্পর্কগুলোর সাপেক্ষে রাজনীতির বিন্যাস ও সম্পৃক্ততার অতলান্তিক রূপ ও মনোযোগকে নিখুঁতভাবে প্রকাশের চেষ্টা করেছেন পশ্চিমাদের জ্ঞানবাণিজ্য বইয়ের প্রতিটি লেখায় ও বর্ণে, যা একে মূল্যবান ও অনিবার্য বই হিসেবে বর্তমান ও ভবিতব্য পাঠকদের কাছে কেবল বিবেচ্য করে তুলবে না, একই সঙ্গে আগ্রহী ও দূরকালের পড়ুয়া ও গবেষকদের একটি অপরিহার্য বই হিসেবে বিবেচ্য হবে।
বইয়ের নাম | পশ্চিমের জ্ঞানবাণিজ্য |
---|---|
লেখক | হামিদ রায়হান |
প্রকাশনী | ঐতিহ্য |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |