১৯৭১ কীর্তনখোলায় নৌযুদ্ধ
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রায় ৫০০ বেসামরিক তরুণকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল নৌ কমান্ডো বাহিনী। আর নৌ কমান্ডো বলতে বোঝায় সুইসাইডাল স্কোয়াড বা আত্মঘাতী বাহিনী। এই বাহিনীর অভিযান ও তৎপরতা পাকবাহিনীকে আতঙ্কিত করে তোলে এবং আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে। এ দলটিকে কোনো সেক্টরের আওতায় স্থাপন করা হয়নি। এর কমান্ডার ছিলেন স্বয়ং জেনারেল ওসমানী। বাংলাদেশ জুড়ে এর কার্যক্রম বিস্তৃত ছিল। তারা যখন যে এলাকায় অপারেশন চালাতেন সংশিষ্ট এলাকার সেক্টর কমান্ডার ও সাব-সেক্টর কমান্ডারের সহায়তা নিতেন। ভারতীয় নৌ বাহিনীর নেতৃত্বে তাদের কঠোর প্রশিক্ষণ হয়েছিল। নদীয়া জেলার পলাশীর প্রান্তরে।
এঁদের মধ্যে ৪৫ জনের একটি দলকে বরিশাল ও মাদারীপুর এলাকায় নৌ অভিযানে পাঠানো হয়। সুইসাইডাল স্কোয়াড সদস্যদের আত্মরক্ষার্থে তেমন অস্ত্রপাতি দেওয়া হতো না। তাদের বুকে বাধা থাকত মাইন বা বিস্ফোরক। সাথে থাকত ধারালো একটি চাকু। শত্রুর হাতে ধরা পড়লে নিজের বুকে চাকু বসিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হতো। কীর্তনখোলায় নৌযুদ্ধ বইটির লেখক এই সুইসাইডাল স্কোয়াডের একজন কমান্ডো ছিলেন। বইয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অংশগ্রহণ ও অভিযানের অভিজ্ঞতা বিবৃত করেছেন। বইয়ে যুক্ত তার তিন সহযোদ্ধার লেখাও নৌযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধে লেখকের অবদান সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে। বইটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসচর্চায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
বইয়ের নাম | ১৯৭১ কীর্তনখোলায় নৌযুদ্ধ |
---|---|
লেখক | আতহার উদ্দিন তালুকদার |
প্রকাশনী | ঐতিহ্য |
সংস্করণ | 1 2022 |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 160 |
ভাষা | বাংলা |