চিরদূরের কাছে প্রার্থনা
কবিতাকে ছুটি দিয়ে কবিতা লেখেন দ্বিত্ব শুভ্রা। ‘পদ-লালিত্য-ঝংকার’,অন্তর্মিলের পরিবর্তে ছেড়ে দে রে তারে খোলা হাওয়ায়,উড়ে যাক সে যেদিক পারে–কবিতার উল্লাসকে ছড়িয়ে দিয়েছেন যে-কবিতা কবির সাথে যেভাবে মন খুলতে চেয়েছে। তাঁর কবিতার চিত্রকল্পে,শব্দ চয়নে এক বিমূর্ত শিল্পীসত্তার ছাপ লক্ষ করা যায়। এই যে জীবন,তার সকাল-সন্ধ্যা-রাত,আলোআঁধারি আর চড়াই-উতরাই থেকে কবিতার মনস্তাত্বিক রসদ সংগ্রহ করেন দ্বিত্ব শুভ্রা। দ্বিত্ব শুভ্রা’র কবিতার অনুসঙ্গে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের অনুপুঙ্খ বিবরণ এবং মানব মনের আনাচে-কানাচে,দুর্গম,বিধ্বস্ত এলাকাগুলোয় কবির যুগপৎ বিচরণের সাক্ষ্য পাওয়া যায়। আবার কখনো-বা কবিতার ঝুলন্ত ট্রাপিজের এক শঙ্কাকুল দোদুল্যমানতায় হাত ধরে তুলে নিয়ে উদ্দিষ্টের কাছাকাছি কোনো এক জায়গায় পৌঁছে তিনি পাঠকের হাত ছেড়ে দেন। অতঃপর নিজের দুই হাত জড়ো করেন চিরদূরের কাছে প্রার্থনায়।
বইয়ের নাম | চিরদূরের কাছে প্রার্থনা |
---|---|
লেখক | দ্বিত্ব শুভ্রা |
প্রকাশনী | পাঠক সমাবেশ |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |