প্লেটোর রিপাবলিকের ভূমিকা
প্লেটো যেসব বিষয় নিয়ে তাঁর দার্শনিক সংলাপ রচনা করেছিলেন,তার মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বিষয়,বলা চলে ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও প্রায় সকল বিষয়,স্থান পেয়েছে রিপাবলিক-এ। আলফ্রেড নর্থ হোয়াইটহেড লিখেছেন,“ইউরোপীয় দার্শনিক ঐতিহ্যের সবচেয়ে নিরাপদ সাধারণীকরণ হচ্ছে এটি গঠিত হয়েছে প্লেটোর পাদটীকার সিরিজ নিয়ে।” যদি তা মেনে নেওয়া হয়,তবে তাতে যে প্লেটোর রিপাবলিক প্রধান ভ‚মিকা পালন করেছে,তা-ও বোধহয় নিরাপদেই বলা যায়। এহেন ধ্রুপদী পুস্তকের একটি প্রাথমিক আলোচনা হিসেবে রচিত হয়েছে ‘প্লেটোর রিপাবলিক-এর ভূমিকা।’ ভ‚মিকাটিতে এই সংলাপটির বিপুল বিষয়ভাণ্ডার থেকে কয়েকটি বিষয়কে আলোচনার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। তাদের অন্যতম হলো : রিপাবলিক রচনার পটভূমি-প্লেটোর যুগের গ্রিক এবং বিশেষত অ্যাথেনীয় রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক বাস্তবতা; আদর্শ রাষ্ট্র ও কল্পরাজ্যের ধারণা; ন্যায়পরায়ণ রাষ্ট্র,এবং আদর্শ ও ন্যায়পরায়ণ মানুষের ধারণা; প্লেটোর জ্ঞানতত্ত্ব; প্লেটোর শিক্ষাদর্শন; প্লেটোর অধিবিদ্যা; দার্শনিক রাজার প্রত্যয়; প্লেটোর নারীবাদ; সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনযাপনের মূল লক্ষ্য; ন্যায়নৈতিকতার সাথে সুখের,অধিকতর গভীরে উত্তমত্বের সম্পর্ক; সর্বোত্তমের শাসন করার অধিকার; গণতন্ত্রবিরোধিতা; আদর্শ রাষ্ট্র হতে কবি ও কবিতার নির্বাসন; আত্মার অবিনশ্বরতা,নৈতিক জীবনযাপনের পুরস্কার এবং পুনর্জন্ম-প্রক্রিয়ার কিংবদন্তি ইত্যাদি। ইহলৌকিক উত্তম ও সুখী জীবনের লক্ষ্যে মানুষের ব্যক্তিগত,সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পরিমণ্ডলে যেসব সমস্যা দেখা দেয় এবং প্লেটো তার যে বর্ণনা দিয়েছেন ও সমাধান উপস্থাপন করেছেন,তা যে সম্পূর্ণরূপে আধুনিক জীবনে প্রাসঙ্গিক,তা হয়তো বলা যায় না,কিন্তু মানবজীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্মাণে এবং তার সমাধানে এত গভীর,মানবিক ও বস্তববাদী সমাধানও বোধহয় এতদ্পর্যন্ত কোনো দার্শনিক দিতে সক্ষম হননি। রিপাবলিক পাঠে পাঠককুলকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যেই ভূমিকা রচনার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।
বইয়ের নাম | প্লেটোর রিপাবলিকের ভূমিকা |
---|---|
লেখক | আমিনুল ইসলাম ভুইয়া |
প্রকাশনী | পাঠক সমাবেশ |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |