ভাইরালের ভাইরাস
আচ্ছা, বইটি কেন পড়তে চাচ্ছেন
প্রিয় পাঠক, পরের লাইনটি পড়ার আগে কয়েক সেকেন্ড থামুন। দয়া করে ওপরের প্রশ্নটির উত্তর দিতে চেষ্টা করুন। কিচ্ছু মাথায় আসছে না? তাহলে অযথা সময় নষ্ট করে বইটা পড়া কি ঠিক হবে? একদম না।
কি হোঁচট খেলেন? তাহলে এবার বলুন-সকালে কেন বিছানা ছেড়ে উঠেছেন? অর্থাৎ গতরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কি কোনো ভাবনা বা পরিকল্পনা ছিল যে সকালে উঠে কোন কাজটা বা (কাজগুলো) করবেন? কোনো পিকনিকের আগের রাতে আমরা যেমনটা করে থাকি।
এটারও যদি উত্তর খুঁজে না পান। তবে আমি নিশ্চিত-এই বই আপনাকে খুব একটা সাহায্য করতে পারবে না। তাই দয়া করে বইটা রেখে অন্য কাজে মনোনিবেশ করুন! আপনার দিনটা ভালো কাটবে।
আমাকে খুব গাধা মনে হচ্ছে, তাই না? অনেকেই যখন নিজের লেখা বই পাঠকদের পড়ানোর জন্য মরিয়া। লোকে কিনতে না চাইলে, তথাকথিত সৌজন্য দেখিয়ে হলেও বলেন-দয়া করে আমার বইটা পড়বেন। সেখানে আমি কি না পড়তে 'নিষেধ' করছি!
হ্যাঁ, সেটা করছি। কারণ এর পরে যে পৃষ্ঠাগুলো পড়তে যাচ্ছেন তা আপনাকে কোনো কল্পরাজ্যে নিয়ে যাবে না। হাওয়ায় ভাসাবে না। মন উড় উড়ু করার মতো আবহ সৃষ্টি করবে না। বইটির বিষয়বস্তু খুবই প্র্যাকটিক্যাল। আর আমরা পছন্দ করি বা না করি, বাস্তবতা সাধারণত নির্মম হয়। নাটক-সিনেমায় দেখানো ধনীর দুলালীর সঙ্গে চাষার ছেলের প্রেম- ভালোবাসার মতো কল্পনাপ্রসূত নয়।
তা ছাড়া বাস্তব কথাবার্তা যারা বলেন, আমরা তাদের খুব একটা পছন্দ করি না। বইমেলায় দেখবেন, কবি-গল্পকার-ঔপন্যাসিকদের মানুষ কত্ত পছন্দ ......................................................
বইয়ের নাম | ভাইরালের ভাইরাস |
---|---|
লেখক | মো. আব্দুল হামিদ |
প্রকাশনী | অন্যধারা |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০২২ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 144 |
ভাষা | বাংলা |