চট্জলদি রান্না
বহুদিন আগের কথা। চীনে এক চাষির পর্কের আস্তাবলে আগুন লেগে যায়। পর্কগুলো পুড়ে মারা যায়। শোনা যায় সেটাই ছিল প্রথম রোস্ট করা মাংসের স্বাদ জানা। খাদ্যের জন্য বেঁচে থাকা নয়, বেঁচে থাকার প্রয়োজনে খাদ্য। প্রয়োজনের কথা ভেবে, সুখ-সমৃদ্ধি ও চাহিদার কথা মাথায় রেখে দলবদ্ধভাবে মানুষ বাস করে। পাঁচ মৌলিক চাহিদার প্রথমটিই অন্ন। তারপর এসেছে বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা। পরিবারের সকলের খাবার তৈরি করার জন্য মায়েদের বেশিরভাগ সময় কাটে হেঁশেলে। জীবনের অন্যান্য প্রয়োজন বেড়ে যাওয়াতে হেঁশেলের সময় কমিয়ে ছুটতে হচ্ছে বাইরে। সপ্তাহের সাতটি দিনের নামই শুধু আলাদা আলাদা, ব্যস্ততা কিন্তু একই রকম। তাই প্রয়োজন দেখা দিয়েছে স্বল্প সময়ে দ্রুত খাবার তৈরি করার। অনুসন্ধান করতে হচ্ছে স্বল্প সময়ে সুষম-পুষ্টিকর খাবার তৈরির পদ্ধতি। বিজ্ঞানের অদ্ভূত সহযোগিতায় পেয়েছি ওভেন, রাইসকুকার, সোস্টার, ব্লেন্ডার, প্রেশারকুকার ইত্যাদি। বইটির পাতায় পাতায় দেওয়া আছে ঝটপট এবং সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্যের রেসিপি। হাঁড়ি-কড়াই-খুন্তি ও চলার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় বিবাহিত জীবনে। বিচিত্র, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর রান্না শেখার একটি অন্বেষা, অনুসন্ধিৎসা ও উদ্ভাবনী প্রয়াসের ফলশ্রুতিই এই রান্নার বই।
বইয়ের নাম | চট্জলদি রান্না |
---|---|
লেখক | অনুপমা হক স্বাতি |
প্রকাশনী | অবসর প্রকাশনা সংস্থা |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |